বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন থেকে সব সেনাই গুটিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে তদন্ত চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় প্রশাসন। তদন্তে ইতোমধ্যেই ৪০০’র বেশি যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
খেরসনে সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের মরদেহ পাওয়া গেছে জানিয়ে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চলটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পর খেরসনে চারশোর বেশি যুদ্ধাপরাধ উন্মোচন করেছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে বেসামরিক নাগরিকদের মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। এদিকে মস্কোর দাবি, সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেনি।
খেরসনের পরিস্থিতি নিয়ে রোববার রাতের ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রুশ সেনাবাহিনী অন্যান্য অঞ্চলের মতো খেরসনেও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা প্রত্যেক খুনিকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনবো। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
খেরসন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও থমথমে পরিস্থিতি রয়ে গেছে। রুশ আগ্রাসনে যারা খেরসন ছেড়েছিলেন তাদের এখনই ফিরে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি বিবেচনায় খেরসনে কারফিউ জারি করে যাতায়াত সীমিত করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ