বিএনএনিউজ : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক রোববার( ১৪ নভেম্বর ২০২১) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট, আরাকান রোড, ২নং গেইট ও মুরাদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১১টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৬৬হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, অননুমোদিত রাসায়নিক ও বাসি খাবার ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি একটি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
এপিবিএন, ৯ এর সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা, সহকারী পরিচালক জনাব নাসরিন আক্তার ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, পাঁচলাইশ থানার দরবার ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেল বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ও মোড়কজাত বিধিনিষেধ না মেনে পণ্য বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার এয়ার মোহাম্মদ স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা এবং রোকেয়া ফার্মেসীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও মেয়াদবিহীন কাটা ঔষধ সসংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরাকান রোডের গ্র্যান্ড নেওয়াজ হোটেলকে এমোনিয়া ব্যবহার, ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় এবং কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
মুরাদপুরের মেজ্জান হাইলে আইয়ুনকে খাবার খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
ফাইভ ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজকে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রয় করায় জনৈক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।একই প্রতিষ্ঠানকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জিএন