বিএনএ, ঢাকা: আসন্ন দুর্গাপূজার পরে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির গণ-অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এ গণ-অনশন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাই পূজায় আমরা কোনো কঠিন কর্মসূচি রাখিনি। সরকার নিজেরা পূজা মণ্ডপে হামলা চালিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাবে। এগুলো তাদের অতীত ইতিহাস। তারপরও গতকাল তারা হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভায় হামলা চালিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে নেত্রী গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করে আসছেন তিনি আজ বন্দী। আজকে এ অনশনে সকল রাজনৈতিক দল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন এবং শপথ করেছেন এ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব এদেরকে সরে যেতে বলছে। এদের অত্যাচার অবিচারে দেশবাসী আজ অতিষ্ঠ। এরা কাউকে পাত্তা দেয় না। এরা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। আজকে দেশকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতিতে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক রাখা হচ্ছে। কারণ, বেগম জিয়া বাইরে থাকলে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দলগুলোর নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং এই গণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করে একাত্মতা ঘোষণা করেন মোস্তফা জামাল হায়দার, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাইফুল হক, খন্দকার লুৎফর রহমান, নূরুল হক নূর, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জোনায়েদ সাকি, ববি হাজ্জাজ, মাহমুদুর রহমান মান্না, মেয়র মজিবুর রহমান, ক্বারি আবু তাহের, ড. নাজমুল করিম খান, প্রফেসর মুর্শেদ হাসান, কাদের গনি চৌধুরী, রাশেদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক, আনম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিএনএ/এমএফ