বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় এবং আকস্মিক বন্যায় মৃতের আনুমানিক সংখ্যা ১৮,০০০ থেকে ২০,০০০-এর মধ্যে পৌঁছতে পারে।
দেরনার মেয়র আব্দুল মেনাম আল-গাইথি সৌদি মালিকানাধীন আল আরাবিয়া টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমন অনুমান করেন।
বৃহস্পতিবার(১৪সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার খবরে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারজ বুধবার বলেছেন যে ভূমধ্যসাগরীয় শহরে এ পর্যন্ত ৩,৮৪০ জন মারা গেছে, যার মধ্যে ৩,১৯০ জনকে ইতিমধ্যে সমাহিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ বিদেশী ছিল, যাদের বেশিরভাগই সুদান এবং মিশর থেকে ছিল।
এদিকে, পূর্ব লিবিয়া পরিচালনাকারী প্রশাসনের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিচেম আবু চকিউয়াত রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৫,৩০০ জনেরও বেশি মৃতের সংখ্যা গণনা করা হয়েছে, এবং বলেন যে সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে এবং এমনকি দ্বিগুণ হতে পারে।
বিধ্বস্ত লিবিয়ান শহর দেরনার বাসিন্দারা নিখোঁজ আত্মীয়দের মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান করছেন। দেশটির উদ্ধারকর্মীরা আরও মৃতদেহ সংরক্ষণে বডি ব্যাগের জন্য আবেদন করেছে, একটি বিপর্যয়কর বন্যায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকজন বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে যান।
সম্প্রতি একটি শক্তিশালী ঘূর্ণি ঝড়ের পর ভূমধ্যসাগরীয় শহর সোয়াথ রক্ষার উপকূলীয় বাঁধগুলি ভেঙ্গে পুরো শহর ডুবে যায়। বহুতল ভবন ধসে ভেতরে ঘুমন্ত পরিবারগুলো পানিতে ভেসে যায়।
বন্যা পরিস্থিতি ভীষণ বিপর্যয়কর হয়ে পড়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল-বায়দা, আল-মারজ এবং দেরনা শহরে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বাড়ির ছাদে অনেক মানুষ আটকা পড়েছিল।
স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম অলমোস্তবালের ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্যার পানিতে একাধিক গাড়ি ভেসে যায়। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।পাকা দালানও ধসে গেছে কিংবা ডুবেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। রাস লানুফ, জুয়েতিনা, ব্রেগা ও এস সিদরা, লিবিয়ার চারটি বড় তেল বন্দর তিনদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ত্রাণ পাঠিয়েছে লিবিয়ায়।
বিএনএ,জিএন /হাছিনা আখতার মুন্নী