বিশ্ব ডেস্ক: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন ও তার পুরো মন্ত্রিসভাকেও বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।বুধবার(১৪ আগস্ট) নৈতিকতার এক মামলায় থাভিসিনের বিরুদ্ধে ওই রায় দিয়েছে আদালত। যা এখন দেশটিকে নতুন করে রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।তিনি ছিলেন ফিউ থাই(Pheu Thai) পার্টির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। আগামী শুক্রবার দেশটির সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি হবে।
এদিন থাইল্যান্ডের সাবেক জান্তা সরকারের নিয়োগ করা সাবেক একদল সিনেটরের করা মামলায় শ্রেথা তার মন্ত্রিসভায় ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করে নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে রায় দেন বিচারকরা।
রায় পড়ার সময় বিচারক পুণ্য উদচাচন বলেন, আদালত ৫-৪ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রায় দিয়েছে যে, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব বাতিল করা হয়েছে। কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত একজন আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সততা দেখাননি।
বিচারক বলেন, শ্রেথা থাভিসিন নিশ্চয়ই ২০০৮ সালে পিচিত চুয়েনবান নামে ওই আইনজীবীর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কথা জানতেন, যখন তিনি তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করেছিলেন।
পুণ্য উদচাচন আরও বলেন, এতে এটা প্রমাণিত হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর কোনো সততা নেই এবং তিনি নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে আদালতের এ রায়ের ফলে এক বছরেরও কম সময় দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন পদত্যাগ করেন।
এর আগে একই আদালত দেশটির প্রধান বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে বিলুপ্ত করে রায় দেয়। সেই সঙ্গে দলটির সাবেক নেতাকে ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষাণা করে। এর এক সপ্তাহ পরই এ রায় দিল আদালত।
এসজিএন