19 C
আবহাওয়া
১২:৩০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সালমান-আনিসুলের ১০ দিনের রিমান্ড

সালমান-আনিসুলের ১০ দিনের রিমান্ড

সালমান-আনিসুলের ১০ দিনের রিমান্ড

আদালত প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে এদিন পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।

মামলার অভিযোগে আয়শা বেগম বলেন, আমার ছেলে শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য যায়। সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি ছেলের মোবাইল নম্বর হতে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে জানায় যে, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি। আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পপুলার হাসপাতালে যাই এবং জানতে পারি ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। তখন বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারি, গত ১৬ জুলাই আমার ছেলে অজ্ঞাতনামা কোটাবিরোধীদের দ্বারা গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের টিটি কলেজের বিপরীত পাশে কাদের আর্কেড মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পড়ে ছিল।

অজ্ঞাতনামা আসামিরা আমার ছেলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ফলে আমার ছেলে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। উপস্থিত পথচারীরা আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছেলের অবস্থা খারাপ দেখে পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৫ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিএনএনিউজ/ সহিদুল ইসলাম/ বিএম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ