বিনোদন ডেস্ক: ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদও ছিলেন এই আন্দোলনে।
সেসময় আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা দেওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। ২১ দিন বন্দি ছিলেন তিনি। গুঞ্জন উঠেছে বন্দি থাকাকালীন আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল নওশাবাকে। সত্যতা নিশ্চিত করতে ভোরের কাগজ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বলব একটু স্থির হই। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল কি না— জানতে চাইলে নওশাবা বলেন, ‘আয়নাঘর’ কি না সেটা বলতে পারব না। তবে কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখটা বাঁধা ছিল। এইভাবে ২১ দিন বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
নওশাবা তার গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে বলেন, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি ছিলাম। ঘটনার দিন (৪ আগস্ট) বিকেলে ধানমণ্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে আমি বলেছিলাম, আমরা যদি ১৯৫২ সালে পেরে থাকি, ১৯৭১ সালে পেরে থাকে তবে এবারও পারব, আপনারা ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। ঘটনাস্থলে যেটা হচ্ছে আমি সেটাই বলছিলাম। এসব কথা বলার কারণে আমি রাজাকার কীভাবে হলাম? এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কোথায় আমি নীচে নামিয়েছি? তবে হ্যাঁ, লাইভে দুই একটা ভুল বাক্য থাকতে পারে। তাই বলে কয়েক দফা রিমান্ড? আমি বুঝেই উঠতে পারিনি আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী, গাদ্দার বা গুজবের রানী কেনো বলা হচ্ছিল। তখনই বুঝে গেছি- এদেশে সত্য বলার পরিস্থিতি নেই।
নতুন সরকারের কাছে এ অভিনেত্রীর প্রত্যাশা, দেশটা এখন অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া আমাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবকিছু যেন মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকে।
বাইরের অনেকের কাছে অভিনয় জগৎ শুধুই চাকচিক্যের। তবে শিল্পীদের ক্ষেত্রে এটা সর্বাংশে সত্য নয়। এটাও একটা পেশা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও অনেক নারী তারকাকেই এ পথে এলে কটুবাক্যের সম্মুখীন হতে হয়। পরিবার ও সমাজ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে অভিনয়ে যুক্ত নারীদের গতিরোধ করতে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা