বিএনএ ডেস্ক: রাজধানীর অধিকাংশ থানায় নেই চেয়ার-টেবিল, কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ। অ্যানালগ পদ্বতিতেই চলছে জিডি-মামলার কার্যক্রম। অধিকাংশ গাড়ি ভাঙচুর হওয়ায় সেবা দিতে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। এমনই নানা সমস্যা আর সীমাবদ্ধতা নিয়ে চালু হলো ঢাকা মহানগরের বেশিরভাগ থানার কার্যক্রম। এরপরও সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজে ফিরেছে পুলিশ সদস্যরা।
সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা আর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সব সময়ই রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বাধাপ্রাপ্ত হয় এই বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম। ৫ আগষ্টের পর সপ্তাহ খানেক বিরতি দিয়ে আবারও নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির গুলশান ও মিরপুর বিভাগের থানাগুলো এখনও স্বাভাবিক রূপে ফেরেনি। গুলশান বিভাগে ছয়টি থানার মধ্যে তিনটি, মিরপুর বিভাগের সাতটি থানার মধ্যে পাঁচটি থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেনাসদস্যদের পাহারায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে বাড্ডা থানার কার্যক্রম। এলাকাবাসী বলছেন, থানায় কোনো পুলিশ ছিল না, প্রয়োজনীয় আসবাব বা কাগজপত্র কিছুই ছিল না। এখন আস্তে আস্তে সব গোছানো হচ্ছে। এখন তারা বেশ খুশি।
নতুন বাজারে অবস্থিত ভাটারা থানা। থানার সঙ্গেই ছিল পুলিশের বাসস্থান। সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্থায়ীভাবে ভাটারা থানা চালু হয়েছে গুলশানের আজাদ মসজিদের পাশে। খিলক্ষেত থানাতেও সীমিত পরিসরে দেওয়া হচ্ছে নাগরিক সেবা।
গুলশান থানার পুলিশ সদস্য ওবাইদুল বলেন, ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। আমরা সবাই মিলে একত্রে এগোলে অনেকদূর পর্যন্ত যেতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, গুলশান থানা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেবা কার্যক্রম চলছে।
থানায় আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, দেশ চলতে গেলে অবশ্যই পুলিশ প্রয়োজন। পুলিশ ছাড়া একদিনও চলা যাবে না।
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় কয়েকটি চেয়ার-টেবিল দিয়ে এখানেও হাতে কলমে চালু হয়েছে জিডি কার্যক্রম। মিরপুর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মিরপুর ২-এ অবস্থিত মিরপুর মডেল থানা। তিন তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরই পুড়ে গেছে।
বর্তমানে সব থানার নিরাপত্তায় রয়েছেন সেনা সদস্যরা। থানাগুলো খুব দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে বলে আশাবাদী সাধারণ মানুষ।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা