বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে দীর্ঘ সাত বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (১৪ আগস্ট ) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মহানগরীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তোতা মিয়া রাঙ্গুনিয়ার বাইশ্যার ডেবা এলাকার আবু সালেহ ওরফে বইল্যার ছেলে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জিল্লুর ভান্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নুরুল আবছার বলেন, এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের একজন তোতা মিয়া। এ মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই একপর্যায়ে জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তোতা মিয়াকে ঢাকার তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তোতা মিয়া ঘটনার পর থেকে সাত বছর ধরে পলাতক ছিল।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তোতা মিয়া পেশায় চাঁন্দের গাড়ি ড্রাইভার। সে উল্লেখিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তি পায়। এরপর সে স্বপরিবারে ঢাকার উত্তরার ১০নং সেক্টর এলাকায় আত্মগোপন করে এবং পরিবার ও আত্মীয় স¦জনের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।’
পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে তোতা মিয়া প্রথমে অটো রিক্সা চালায়। অটো রিক্সা নিষিদ্ধ করায় পরবর্তীতে সে সিএনজি ড্রাইভার হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করে এবং স্থায়ীভাবে সেখানে বসবাস শুরু করে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ সাত বছর ড্রাইভারের ছদ্মবেশে পালিয়ে থাকে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার।
তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম