বিএনএ, সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় রাসেল মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী নুসরাত জাহান।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায়। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইলের চারালপাড়া চুঙ্গিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচটের আড়িয়ারার মোড় এলাকার শাহাজ উদ্দিন খানের ছেলে সবুজ খান (২৫), আমিন মাদবরের ছেলে রাজু (২৮), হাসান (২৩), আরিফ (২৩), মৃত শাহিন আলমের ছেলে সিজান (২৮) ও আব্দুর রবের ছেলে নুর আলম (৩০)। এদের মধ্যে সবুজ, রাজু ও হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী রাসেল মিয়া একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে মাদক সেবন ও বিক্রি করছিলেন। এসময় রাসেল বাড়ি থেকে বের হয়ে তাদের বাড়ির সামনে অনৈতিক কাজ করতে নিষেধ করেন এবং বাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী রাসেলকে দেখে নেওয়ার হুমকি ও গালিগালাজ করে চলে যায়। এর প্রায় এক ঘন্টা পরে তারা চাকু, হাতুড়ি, ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবার রাসেলদের বাড়ির সামনে আসেন। এসময় রাসেলকে বসে থাকা অবস্থায় দেখে অভিযুক্তরা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে রাসেলকে মারধর করতে করতে আড়িয়ারার মোড়ের বাদলের ফ্লেক্সিলোডের দোকানের সামনে নিয়ে যান। এসময় তার মাথায় সবুজ ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। পরে তার সহযোগীরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেন। এক পর্যায়ে রাসেল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে চলে যায় অভিযুক্তরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়িয়ারার মোড় এলাকার এক চা দোকানী বলেন, আমরা একজনকে কয়েকজন মিলে মারধর করতে দেখেছি। কিন্তু তাদের আমরা চিনি না। তাকে তিনজন ধরে ছিল আর তিন থেকে চারজন মারধর করতে করতে দোকানের সামনে দিয়ে নিয়ে যায়। এর বেশি কিছু আমরা জানি না। পরে শুনি একজনকে হাতুড়ি ও চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। একই সাথে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএনিউজ/ইমরান খান/এইচ.এম।