বিএনএ,ঝিনাইদহ : চক্ষু চিকিৎসার উপর প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী নেই। নেই কোন সার্টিফিকেট। অথচ এরা চক্ষু চিকিৎসক। মানবদেহের অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এরা চিকিৎসা করছেন প্রতিদিন। সময়ে সময়ে করছেন অপারেশন। এ সব কথিত চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় অনেকে চিরতরে অন্ধ হচ্ছেন।
ঝিনাইদহ জেলার কোটাঁদপুর কলেজ মোড়ে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র ও মেইন স্ট্যান্ড থেকে পোস্ট অফিস মোড়ে যেতে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র। এই দুটিতে চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারদের নাই কোন ডিগ্রী। তবুও দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্র রোগী দেখেন ডা. সুমন কুমার বালা এবং প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র রোগী দেখেন ডা. মনিরুজ্জামান।
জানা গেছে, সুমন কুমার বালা প্যারামেডিকেল পড়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়েছেন। আর মনিরুজ্জামান খুলনার শিরোমনি হাসপাতালে ডাক্তারের সহকারী হিসাবে চাকরি করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।মনিরুজ্জামানের কোন একাডেমিক ডিগ্রী নেই। এই দুটি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের বিজ্ঞাপণ দেওয়া ক্যাবল লাইনে। সেখানে প্রচার করা হয় বিনা অপারেশনে চোখের ছানি অপসারণসহ চটকদার বিজ্ঞাপণ। তারা প্রতিদিন একেক জন ৫০ জন করে রোগী দেখেন। ১০০ টাকার ভিজিটে দেন প্রেসক্রিপশন। এছাড়া কোটচাঁদপুরের কলেজ স্ট্যান্ডে প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ভূমি অফিসের কর্মচারি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ চক্ষু পূণর্বাসন কেন্দ্র ও চক্ষু হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. শেখ আব্দুল হালিম জানান, হেলথ এসিসট্যান্ট কিভাবে প্রেসক্রিপশন লেখে আমার জানা নেই। চোখ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সামন্য ভূলে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুরের প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ১১ বছর শিরোমনি হাসপাতালে চাকরি করেছি। ডাক্তারের সাথে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই রোগী দেখি। কোন সমস্যা হয় না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন আমার বিষয়ে জানেন।
ডা. সুমন কুমার বালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি প্যারামেডিকেল থেকে ৪ বছরের ডিপ্লোমা করেছি। ট্রেনিং নিয়েছি। আমি এখানে চাকরি করি। আমার সার্টিফিকেট যা আছে সব সঠিক। কিছুতো একটা করতে হবে। আমি এখানে চাকরি করি।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জরুরী জুম মিটিংয়ে থাকায় তিনি বক্তব্য দিতে পারেন নি।
বিএনএনিউজ/আতিক,মনির