বিএনএ, ঢাকা : বয়সের সঙ্গে চুল সাদা হয়। এটি স্বাভাবিক প্রবণতা। কারো আগে হয়, কারো পরে। এসময় অনেকে চুলে রং করেন। এতে মৌলিকভাবে কোন সমস্যা নেই, শরীয়তে এর অনুমতি আছে।
চুল রং করার ক্ষেত্রে শরীয়তে দৃষ্টিতে তিনটি শর্ত মেনে চলতে হবে।সে গুলো হল:
প্রথমতঃ চুল রং করার ক্ষেত্রে কালো রং তথা কলপ ব্যবহার করা যাবে না; কারণ এর দ্বারা পাকাচুল পুরোপুরি আবৃত হয়ে যায়।
দ্বিতীয়তঃ চুলে রং করতে গিয়ে কোনো কাফির-মুশরিকের স্টাইল ধারণ করা যাবে না।
তৃতীয়তঃ যে রং চুলে লাগানো হচ্ছে, তার মধ্যে যদি কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক না থাকে।
তদ্রূপ নারীদের জন্যও কালো রং ছাড়া অন্য যে কোনো রং দ্বারা পাকা চুল রাঙিয়ে নেওয়া জায়েজ আছে। পাকা চুল রং করার ক্ষেত্রে কালো রং পরিহার করার ব্যাপারে একাধিক হাদিস বর্ণিত আছে।
হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিনে আবু কুহাফাকে আনা হলো। তখন তার চুল-দাড়ি ছিল ‘ষাগামা’ ফুলের মতো সাদা। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটিকে কোনো কিছু দ্বারা পরিবর্তন করো। তবে কালো থেকে বিরত থাকো।’ (মুসলিম: ৫৪৬৬)
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, শেষ যুগে এমন এক শ্রেণির লোক হবে, যার পায়রার ছাতির মতো কালো কলপ ব্যবহার করবে, তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। (আবু দাউদ: ৪২১২)
আর পাকা চুল রং করার ক্ষেত্রে এমন রংও পরিহার করতে হবে, যে রং দিয়ে চুল রাঙালে কাফির-মুশরিক আর মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। এ ধরনের রং দ্বারা চুল রাঙানো নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই হারাম।
কেননা হাদিসে এসেছে- হজরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কিছু আনসার সাহাবাদের উদ্দেশে বলেন, সাদা দাঁড়ি চুলগুলো লাল অথবা হলুদ রঙ দ্বারা পরিবর্তন করো এবং আহলে কিতাবদের (ইহুদিদের) বিরোধিতা করো। (আহমাদ- ২২৩৩৭)
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।