বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে তিন দিন আগে উদ্ধার করা মরদেহটি একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্টের বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজেশ বড়ুয়া নামের ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব শীলকূপে। তার পিতার নাম কমল কান্তি বড়ুয়া। নগরীর নন্দনকানন ১ নম্বর গলিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১০ জুলাই নগরীর নন্দনকাননের ১নং গলি এলাকার ছকিনা ভবনের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি রাজেশ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং ১০৬৯) করেছিলেন। রাজেশের স্ত্রী পূজা বড়ুয়ার জিডিতে বলা হয়, তার স্বামীর অনেক দেনা ছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন। পরে বেলা ৩টার দিকে ফোন করে বলেন ‘ভালো থেকো’। এরপর ফোন কেটে দেন। পরে আর ফোন ধরেননি। দেনাদারের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় রাজেশ আত্মগোপন করেছেন বলে জিডিতে ধারণা প্রকাশ করেছিলেন পূজা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজার সাম্পান ঘাট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। মরদেহটি জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছিল। পরিচয় না পাওয়াতে সে মরদেহ চমেক হাসপাতালে মর্গে ছিল। তার পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডিগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সেই ধারাবাহিকতায় পরিবারের সদস্যরা মর্গে গিয়ে ওই মরদেহ রাজেশের বলে শনাক্ত করেন। সে মরদেহ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনেরা গ্রহণ করে চট্টগ্রামের চাদগাঁওস্থ সার্বজনীন শ্মশানে দাহ করা হয়।
বিএনএনিউজ/বিএম/ হাসনাহেনা