26 C
আবহাওয়া
১২:১১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্থানীয় পশুতেই মিটবে আনোয়ারায় কোরবানির চাহিদা,তবুও শঙ্কা

স্থানীয় পশুতেই মিটবে আনোয়ারায় কোরবানির চাহিদা,তবুও শঙ্কা

স্থানীয় পশুতেই মিটবে আনোয়ারায় কোরবানির চাহিদা,তবুও শঙ্কা

বিএনএ,আনোয়ারা (চট্টগ্রাম),এনামুল হক নাবিদ:ক’দিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।
তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার খামারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কোরবানির পশু মোটাতাজা করণ নিয়ে।
এবার উপজেলায় স্থানীয়ভাবে যা পশু মেটাতাজা করণ করা হয়েছে তা দিয়েই চাহিদা মেঠাবে বলে অভিমত প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের।

তারা জানান, এবার অনেকটাই উপজেলার কোরবানির চাহিদা মেঠাবে স্থানীয় খামারিদের পশু।চাহিদা মেঠাতে স্থানীয় পশু যথেষ্ট হলেও করোনা সংকটের কারণে প্রেক্ষাপট ভিন্নও হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তরা।

তাদের মতে, গত বছর স্থানীয়রা কোরবানির পশু মোটাতাজা করণ করেছিল ২১ হাজার গবাদি পশু।সর্বশেষ কোরবানির হাটের শেষের দিকে সংকট পড়েছিলো গবাদি পশুর। তবে গতবারের চেয়ে এবার আরো কম সংখ্যক পশু মোটাতাজা করণ করা হয়েছে।যা অনেকটা কোরবানের পশুর বাজারে প্রভাব ফেলবে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা সংকটের ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা এবার কোরবানি নাও দিতে পারেন। যে কারণে দাম সহনীয় পর্যায় ও সংকট না হওয়ার কথাও বলছেন অনেকে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে উপজেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১৪হাজারের মত। তবে পশুর চাহিদা ১৪ হাজার থাকলেও এবারে কোরবানি উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৭৬ টি পশু পস্তুত করা হয়েছে।
যার মধ্যে ষাড় হচ্ছে ৬ হাজার ১৮২টি, বলদ ৭০৭টি,গাভী ১০৯৮টি,মহিষ ৪ হাজার ৪২১টি, ছাগল হচ্ছে ২ হাজার ৫৪৯টি এবং ভেড়া ১০৯টি।
এই সমস্ত পশুর খামারীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্য সম্মতভাবে গরু মোটাতাজা করণ করতেছে।গরু পালনে খামারিরা এবার ভালো লাভের আশা করছেন। তবে তাদের শঙ্কা শুধু বাহির থেকে গরু আসা ও রোগবালাই নিয়ে।

আনোয়ারা ডেইরী ফার্মাস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন বলেন, গো খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। তাই করোনা আর লকডাউনের মধ্য খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছ থেকে গো খাদ্যের কমানোর জন্য জোর দাবি জানায়।গো খাদ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে পশু মোটাতাজা করনে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বছরের শুরু থেকে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি।
ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে যা মোটাতাজা করন করা হয়েছে তা স্থানীয় চাহিদা মেঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রোগবালাই থেকে গবাদিপশু মুক্ত রাখতে আমারা রীতিমত খামার ভিজিট করছি। খামারিদের নীয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

বিএনএ /ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ