বিএনএ, ঢাকা : ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন।
মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) জায়েদ হাসান ও জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আবদুল্যা আল মাসুদ।
মামলার আইনজীবী ও ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সুজন বলেন, মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত হননি। এতে আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পণ্যগুলো দিতে ইভ্যালি ব্যর্থ হয়। এতে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আব্দুল্যা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের কাছে পাঠায়। এতে চেকগুলো নগদায়নের জন্য তিনি ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। এরমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল।
ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায় ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে। এতে ডিজঅনারপূর্বক চেকগুলো ফেরত আসে।
১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদল হক আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ও চেকগুলোও ফেরত নেয়নি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।