বিএনএ, ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাগুজিপাড়া মহল্লার নুর নাহার (৩২) গলায় ফাঁস দিয়ে ও উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের আলেয়া বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
নুর নাহার পৌরসভার বেজিরটেক এলাকার নুর হাসানের মেয়ে। এ ঘটনায় স্বামী খোকন ও স্বামীর ছোট ভাই রাসেল পলাতক রয়েছেন। নুর নাহার দুই সন্তানের মা।
আত্মীয় স্বজনের দাবি, নুর নাহারকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নুর নাহারের নানি সুরিয়া বেগম বলেন, নুর নাহার কখনো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। সে একজন স্কুলশিক্ষিকা। কুমরাইল মহল্লায় প্রভাতী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা তিনি। নিয়মিত স্বামী খোকনের সাথে ঝগড়া লাগতো।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একাধিকবার নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় খোকনের বিচার করা হয়েছে। সে আরেকটি বিয়ে করেছে। তার চরিত্রের কারণে পরিবারে সবসময় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।
অপরদিকে, উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামে সকালে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আলেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত আলেয়া বেগম মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম এলাকার মেয়ে।
এ ঘটনায়ও নিহতের স্বামী আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছেন। আলমগীর হোসেন আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।
কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের ওই গৃহবধূ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি অপারেশন নির্মল কুমার দাস বলেন, নিহত নুর নাহারের গলায় ও কপালে দাগ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। নুর নাহারের স্বামী ও দেবর পলাতক রয়েছে।
অপরদিকে আমতা ইউনিয়নের জোয়ার আমতা গ্রামের গৃহবধূ গায়ে কেরোসিন দিয়ে আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করে উন্মোচিত করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।