বিএনএ,কক্সবাজার: শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ছোবল থেকে রক্ষা পেতে সারারাত ধরে সেন্টমার্টিনের প্রতিটি মসজিদে মুসল্লীরা তাহাজ্জুদ আদায় করে এবং সেখানে কান্নার রোল পড়ে যায়। সারারাত ধরে সেন্টমার্টিনের লোকজন আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন- সারারাত মানুষ আল্লাহকে ডেকেছে। মসজিদে তাহাজ্জুদ আদায় করে কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান নিয়ে কিন্তু কারো মনে শান্তি নেই। অজানা আতংক ও কষ্ট সবার মনে।
সেন্টমার্টিনের মনির আহমেদ জানান – সারারাত কান্না করে করে মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। আমাদের খুব বেশি ভয় কাজ করছে। জানিনা কি হয়।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে রয়েছে দমকা হাওয়াও।
শনিবার (১৪ মে) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
স্থায়ীয়রা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, এবং সেই সাথে দমকা হাওয়াও রয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার -উত্তর এবং মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিএনএ/ শাহীন, ওজি