বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ‘নতুন ধরনের’ একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সূত্র দাবি করেছে, ‘নতুন ধরনের’ ক্ষেপণাস্ত্রটিতে খুব সম্ভবত উন্নতমানের কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার পর জাপানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি হোক্কাইডো অঞ্চলের অধিবাসীদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে কোনো বিপদ ছাড়াই সবকিছু শেষ হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নতুন মডেলের হতে পারে বলে দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) উড়ে গিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের এ উৎক্ষেপণকে ‘গুরুতর উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে তারা।
ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ কতো উচ্চতায় উঠেছিল উত্তর কোরিয়া তা না জানালেও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, এটির সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩,০০০ কিলোমিটারের কম ছিল বলে মনে হয়েছে। গত বছর উত্তর কোরিয়ার কিছু পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ৬,০০০ কিলোমিটার উচ্চতাও টপকে গিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল এবং তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ এটিকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে অভিহিত করে এ উৎপক্ষেপণের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাপানে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার পূর্বদিকের সাগরে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি কাছাকাছি কোথাও পড়ছে না, এটি নিশ্চিত হওয়ার পর জাপানের কর্তৃপক্ষ হোক্কাইডো দ্বীপে জারি করা সতর্কতা তুলে নেয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।