বিএনএ, ঢাকা: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত তাসফিয়া আক্তার জান্নাতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। হত্যাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাদের কঠিন বিচার দাবি করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সরুরপোল এলাকায় নিহত তাসফিয়ার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
এসময় তাসফিয়ার হত্যাকারীদের ছবিযুক্ত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন ও দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাসে দলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
এদিকে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার মামা (খালার স্বামী) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য খাবার কিনে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে আবু জাহেরকে ওইদিন বৈঠকে ছিলি বলে গালাগালি করে।
এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পিছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পিছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শটগানের গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
এসময় তাসফিয়া ও তার বাবা জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা আনার পথে কুমিল্লায় পৌঁছালে মারা যায় তাসফিয়া।
স্থানীয়রা বলছেন, মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিল না মাওলানা আবু জাহের। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় আবু জাহের। সেই টার্গেটের বলি হতে হলো তাসফিয়া জান্নাতকে।
বিএনএ/ এ আর