বিএনএ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার ৭ দিন পার হলেও বিচার না পাওয়া ও হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, রচনাসমগ্র, কবিতা আবৃত্তি এবং গানের মাধ্যমে আধাবেলা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা শেখ মুজিব আমার পিতা, এস এম জাকির হোসাইনের লেখা আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, মুজিব শতবর্ষের রচনা মুজিব চিরন্তন, সাইফুর রহমান সোহাগের লেখা ছাত্রলীগের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস, বদরুদ্দীন উমরের লেখা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, আনিসুল হকেল লেখা মা, রমিজ লালের লেখা হ্যামিংওয়ে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা ওল্ড সী, রবার্ট টি কিয়োসাকির লেখা রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড, হাসান আজিজুল হকেল লেখা আত্মজা ও একটি করবী গাছ, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর লেখা চাঁদের অমাবস্যা, বড়ু চণ্ডীদাসের লেখা শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন, হুমায়ুন আহমেদের লেখা দেয়াল উপন্যাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী, বিসর্জনসহ বিভিন্ন বই পাঠ করা হয়।
আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে নিজের লেখা ‘রূপসা পাড়ের বেলা’ কবিতা আবৃত্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদুল আল আমিন।
অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, আমরা ইতোপূর্বে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। কিন্তু এখনও আমাদের কোন দাবী পূরণ করা হয়নি৷ আমরা গতকাল সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দফা দাবী ঘোষণা করেছি। যার অংশ হিসেবে আজকের আধা বেলা অবস্থান কর্মসূচি, আগামীকাল সংহতি সমাবেশ এবং বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ পালন করব। এর পরেও যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তাদের অবস্থান কর্মসূচি আমি জানতে পেরেছি, তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম কিন্তু এখনও আমি পাইনি। কেন দেয় নি আমি জানিনা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। আমরাও চাই দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। তবে প্রক্টর যে অপসারণের দাবি তা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তদন্তের বিষয়, তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আমি তো এই অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানি না। জেনে বলতে পারব।
বিএনএ/ হাবিবুর রহমান, বিএম