বিএনএ ডেস্ক : প্রথম স্ত্রী মারা গেছে লিটন আলির। ফের বিয়ে করলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল ৯ বছরের মেয়ে আর নতুন স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসারের। কিন্তু স্বপ্ন তার ধুলিস্যাৎ হল বাসর রাতেই । বাসর রাতে নতুন স্ত্রীর হাতে গহনা পরিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই অসুস্থ হয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন ৪৩ বছরের লিটন। তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বাসর রাতে এই ভাবে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ নববধূ ফাতেমা খাতুন। শনিবার কবরস্থ করা হয়েছে লিটনকে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের বাসিন্দা লিটন আলি । তিনি পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইদহ জেলার গান্না ইউনিয়নের কালুহাটি ঘোপপাড়া গ্রামের ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই মাস আগে মারা গিয়েছেন লিটনের প্রথম স্ত্রী। তাঁদের লামিয়া খাতুন নামে একটি ৯ বছরের মেয়ে রয়েছে। লিটন আলির প্রথম স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য আবার দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হন তিনি। বাসর রাতে প্রথম স্ত্রীর রেখে যাওয়া সোনার বালাটি দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে পরাচ্ছিলেন লিটন। সেই সময় হঠাৎ অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
বিএনএ/ ওজি