ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শামসুন্নাহার রহমান পরাণের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মরণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, চট্টগ্রাম প্রাঙ্গণে শিশুদের নিয়ে এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। সকাল ১১.০০টায় শুরু হওয়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ৫০০জন শিশু অংশ নেয়। এতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভাস্কর ডি.কে.দাশ মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টটিউট এর সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রীতা দত্ত, শিল্পী সামিনা নাফিজ।
তিনজন বিচারকের যৌথ রায়ে প্রতিযোগীতায় ‘ক বিভাগে’ ১মস্থান অধিকার করে মোহাম্মদয়ী সরকারী প্রথিমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী শুভ্রময়ী সেন, ২য়স্থানে পিটিআই স্কুলের ছাত্র আবরার ফাতিন আদিব এবং তৃতীয় হয়েছে জেমস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র হাসান মো: আইয়ান।
“খ বিভাগে’ প্রথমস্থান অধিকার করে কাপাসগোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী হামীম সারতাজ আনওয়া, ২য়স্থান পেয়েছে অরবিট স্কুলের ছাত্রী সামিয়া ইসলাম ন্যান্সি এবং ৩য়স্থান পেয়েছে উদয়ন ছোটদের স্কুলের ছাত্রী সৈয়দা শাওরিয়া আফরিন।
অনুষ্ঠানে শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস আক্তার বলেন, এ প্রাঙ্গণে বহু প্রতিযোগিতা হয় কিন্তু ঘাসফুলের আয়োজনটা একেবারে ভিন্ন এবং অনন্য। তিনি ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা পরাণ রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি শিশুদের নিয়ে উন্নয়নমূলক বহু কাজ করে গেছেন। ঘাসফুল নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী বলেন, ঘাসফুল-প্রতিষ্ঠাতা পরাণ রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের এই আয়োজন। তিনি শিশুদের মানসিক বিকাশে অভিভাবকদের সতর্ক করে বলেন, চারদিকের আজকে যে সহিংসতা তার সবচেয়ে বেশী শিকার হচ্ছে শিশু আর কিশোর-কিশোরী। কুলষিত পরিবেশকে নির্মল করতে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের এধরণের সৃজনশীল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। শিশুদের সুস্থ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় ঘটাতে ঘাসফুলের এ আয়োজন। প্রয়াত পরাণ রহমান শিশুদের ভালবাসতেন। তিনি তিনজন দেশবরণ্য বিচারকের রায়ে উত্তীর্ণ ছয়জন বিজয়ী’র নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঘাসফুলের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঘাসফুল নির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবিতা বড়ুয়া, , প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাদিকা সুলতানা চৌধুরী, ঘাসফুলের উপ-পরিচালক (মাইক্রোফিন্যান্স) আবেদা বেগম, সহকারী পরিচালক শামসুল হক, রিজিওনাল ম্যানেজার সাইদুর রহমান খান, অডিট এন্ড মনিটরিং ম্যানেজার টুটুল কুমার দাশ, ব্যবস্থাপক (হিসাব) মোস্তফা জামাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সৈয়দ মামুনূর রশীদ, কমউনিকেশন ম্যানেজার নুদরাত এ করিম, সেকেন্ড চান্স প্রকল্পের সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম, প্রশিক্ষক জোবায়দুর রশীদ ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ঘাসফুল পরাণ রহমান স্কুলের অধ্যক্ষ হোমায়রা কবির চৌধুরী এবং অন্যান্য শিক্ষিকবৃন্দ, সমৃদ্ধি কর্মসুচি’র সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আরিফ, পাবলিকশন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জেসমিন আক্তার, কর্মকর্তা নারগিছ আকতার, জুনিয়র কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমান , ইয়েস প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান, এডমিন ব্যবস্থাপক এনামুল করিম জুয়েল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।