বিএনএ ডেস্ক: জেঁকে বসেছে শীত। কাঁপছে দেশ। বেড়েছে কুয়াশার দাপট। উত্তরের হিমেল বাতাসে দেশের মানুষ এখন শীতে কাবু। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। চলমান এ অবস্থা আগামী কয়েকদিনেও স্বাভাবিক হচ্ছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তররের তথ্যমতে, বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দু’এক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ২০ তারিখের পর ফের শুরু হতে পারে। অর্থাৎ মাসজুড়েই শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে গেলেও সে সময় শীত আরও বাড়তে পারে। বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কমে গিয়ে ২০ তারিখের পরে মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আবার শুরু হতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়।
এদিকে, রোববার (১৪ জানুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সারাদেশের জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ