বিএনএ পঞ্চগড়: গত কয়েক বছর ধরে দেশে তেমন শীত না পড়ায় এবারও শীতের প্রস্তুতি ছিল সামান্যই। এ অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে বিনিদ্র রাত কাটছে দরিদ্র, শ্রমজীবী মানুষের। বিশেষত উত্তরাঞ্চলের জনপদে শীতের কষাঘাত এবার তীব্রতর।
হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস আবহাওয়া পর্যেবক্ষক মো. রোকনুজ্জামান জানান, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন। গত কাল তাপমাত্রা ছিল ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, গত কয়েকদিনে কুয়াশা আর ঠান্ডার প্রভাব কিছুটা কমে গেলেও সকাল থেকে আবারও ঘন কুয়াশা ঢেকে আছে জেলার পথ-ঘাট, প্রান্তর। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ঠান্ডার মধ্যেই জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা। আর গরম কাপড়ের অভাবে কাজে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে তাদের। এছাড়া তীব্র শীতে জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। এ কারণে শীতের পোশাক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।