বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে নাগরিক সুবিধা বলতে কিছুই নাই। বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। বর্ষা মৌসুমে নগর জুড়ে ভয়াবহ জলজট সৃষ্টি হয়। তখন মানুষকে বলতে শুনেছি চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে আর বসবাস করা যাবে না। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি মেগাসিটি, স্মার্ট সিটি, নির্মল পরিবেশবান্ধব শহর নগরবাসীর প্রত্যাশা। আমি মেয়র নিবার্চিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে জলাবদ্ধতা নিরসন করবো। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নগরীর ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ও ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগর উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না ততদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না। নিবার্চিত হলে নালা—নর্দমা, খাল ও নদী খনন করে সার্বক্ষনিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো। নগরবাসীর এসব প্রত্যাশা পূরণে নিজেকে আত্ননিয়োগ করবো। তাই সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর, বিটিসিএল, পিডিবি, সিজিডিএলসহ সেবা সংস্থাগুলো নিয়ে সম্মিলিত পরিকল্পনা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান করার উদ্যোগ নিব।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীতে অনেক এলাকায় এখনো গ্যাস, সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে৷ সে সব এলাকা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং গ্যাসের সংযোগ প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বর্তমানে মশার প্রজনন মৌসুমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে৷ জনগণ মশার উপদ্রুপে এত বিরক্ত তা জীবন যাপনে কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিধনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতায় মশার নিধনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে না, যার যখন যেখানে ইচ্ছে সেটা নির্মাণ করছে। চট্টগ্রামকে আগামী ২০—৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এ শহরের উন্নয়ন করতে হবে। ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ এসব পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সেবা সংস্থার সমন্বয় করবো। আগামী ৫০ বছর পর গিয়েও যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। ব্যক্তি স্বার্থে চট্টগ্রামকে পিছিয়ে না নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সকল শ্রেণি— পেশার মানুষ নিয়ে পরামর্শ কমিটি করে পরিকল্পিত, নান্দনিক, বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলবো।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, উন্নয়নের নামে সরকারের নেতাকর্মীরা শুধু পকেট ভারি করেছে। নগরবাসীর কল্যাণে কোনো কাজ করা হয়নি। শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা থেকেও মানুষ বঞ্চিত। খাদ্য দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। এতে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আগ্রাবাদ এলাকায় প্রধান সমস্যা মাদক ও সন্ত্রাস। এই সরকারের আমলে এখানে মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসও ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থাও চরম পর্যায়ে ঠেকেছে। ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র হলে এগুলো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিল প্রার্থী মো. সেকান্দর, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এস এম ফরিদুল আলম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা বোরহান, নগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, মো. ইকবাল হোসেন, সাবের আহমেদ, বুলবুল আহমেদ, মো. জমির আহমদ, লুৎফুর আলম, নগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মো. হোসেন, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, নগর তাতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সা. সম্পাদক মঞ্জুর মিয়া, বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম, সেলিম হাফেজ, ছালেহ জহুর, আব্দুর রহমান কোম্পানী, কামাল উদ্দিন সদার্র, মো. শহীদ, হাসান রুবেল, মিজানুর রহমান মোস্তফা, আব্দুল মাবুদ, নগর যুবদলের সহসভাপতি মিয়া মোহাম্মদ হারুণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি খাইরুল আলম দিপু, মাঈনুদ্দিন রাশেদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. সিরাজ, মো. আলমগীর, ওসমান গণি সিকদার, আবু সৈয়দ কালু, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর ছাত্রদল নেতা জাফরুল হাসান রানা, রিয়াদ হোসেন, বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন, ইদ্রিস আলম, মো. জহুর, মো. সালাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, সিদ্দিক মিয়া, তাজুল ইসলাম রানা, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, নাজিম উদ্দিন খান, আব্দুল হাকিম, রেজাউল করিম মিঠু, দীন মোহাম্মদ, ছাদেকুর রহমান রিপন, অঙ্গ সংগঠনের নেতা বজল আহমদ, একরাম সিদ্দিকী, শফি রানা, তাজুল ইসলাম তাজু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, গোলাম শফি দুলু, হেলাল উদ্দিন, আবু নাঈম দুলাল, মো: রাজীব উদ্দীন, মো: আজাদ, মামুনুর রশীদ মামুন, নুরুল আলম মো. রাসেল, মো. মনির, মো. ইমন, মো. রণি, রাসেল খান, মো. লিটন, সাইমন হোসেন, বাকের, আকতার ও জনিসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।