বিএনএ, কক্সবাজার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সৎ ও সাহসের ঠিকানা। কাজেই দল বিক্রি করে দুর্নীতি অপকর্ম কেউ করবেন না।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সেতু মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আছেন বলে মানুষ সালাম দিচ্ছে। ভয়ে কেউ কিছু বলে না। দলের পরিচয় বাদ দিলে কারো এক পয়সার ও মূল্য থাকে না। সাধারণভাবে দেখলে সব দেখতে পাবেন। দয়া করে দলের নামে কেউ অপকর্ম করবেন না। দলের ভাব মূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা কেউ করবেন না। আওয়ামী লীগের পরিচয় না থাকলে আমি কে?
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জেনে রাখুন, বঙ্গবন্ধুর খুনের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তিনি কি বাঁচতে পেরেছেন? তাকেও একইভাবে মরতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে না মারলে হয়তো জিয়াউর রহমানকে মরতে হতো না।
এ সময় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দিয়ে কমিটি ঘোষণা হবে। জাতীয় সম্মেলনের আগেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে হবে। কমিটিতে দুঃসময়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে সুসময়ে যারা এসেছে তাদের তাড়িয়ে দেবেন না। তাদের নিয়ে বাড়াবাড়িও করবেন না।
সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ এনেদিয়েছিলেন,অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্টার জন্য।কিন্তু সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ২১ বছর বি এনপি জামায়াত দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দূরে থাক মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করেছেন বারবার।তাই মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারবেনা কোনদিন।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন,বিএনপি জামায়াত যতই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করুক না কেন তাদের বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।কারণ তাদের অপশাসন দেখেছে মানুষ। তাদের দুর্নীতি আর লুটপাট তন্ত্র এদেশে আর কখনো কায়েম হবে না।কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারে তারা বঙ্গোপসাগরে ভেসে গেছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না।আগামী নির্বাচনে ও জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে।অবহেলিত ত্যাগী নেতা কর্মীরা অবশ্য সম্মান পাবার অধিকার রাখে।দেশরত্ন শেখ হাসিনা জানে কখন কাকে কি ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগেই গনতন্ত্রের চর্চা হয়। আওয়ামী সাজাপ্রাপ্ত নেতা নেত্রীর দল নয়।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সিরাজুল মোস্তফা, আমিনুল ইসলাম আমিন, বারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনএ/ফরিদুল, এমএফ