বিনোদন প্রতিবেদক: পদ্যশ্রী খ্যাত স্নিগ্ধ পাতিল আজকের একদিনে পৃথিবীর মায়া ছাড়েন। “বাংলার বধু হতে চেয়েছিলেন স্মিতা” বিশাল করে এই শিরোনাম দিয়ে লেখা হয়েছিলো ‘সাপ্তাহিক সিনেমা’র প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে ঢাকার একজন প্রযোজক তাঁর সঙ্গে যে কথা বলে এসেছিলেন, সেটার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিলো সেই সচিত্র প্রতিবেদন।
মৃণাল সেন এর কর্মশালায় অংশ গ্রহনের সময় থেকেই “আকালের সন্ধানে” দেখে তাঁর অভিনয়ের ভক্ত হয়ে গেছিলাম। সব ধরনের ছবিতেই অভিনয়ে তিনি ছিলেন অনবদ্য। স্মিতা পাতিলের জন্ম পুনেতে। সেখানে রেণুকা স্বরূপ মেমোরিয়ালে পড়াশোনা করেন তিনি। পুণেতে অবস্থিত ভারতের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন স্মিতা পাতিল। ভারতের সরকারি টেলিভিশন ‘দূরদর্শন’ প্রথম তিনি ক্যামেরার মুখোমুখি হন সংবাদ পাঠিকা হিসেবে। পাশাপাশি তিনি আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার সময় শ্যাম বেনেগাল তাকে আহবান জানান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের।
শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘চরণদাস চোর’ স্মিতা পাতিলের প্রথম ছবি। অভিনয়, স্টাইল, সামাজিক দায়বদ্ধতা স্মিতা পাতিলকে দ্রুত খ্যাতি এনে দেয়। ১৯৮৪ সালে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকমণ্ডলীর সদস্য হন স্মিতা পাতিল। ভারতের পদ্মশ্রী পদক প্রাপ্ত এই শিল্পীর মুখাবয়ব দিয়ে ভারতীয় ডাকবিভাগ একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল ১৯৮৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর মাত্র ৩১ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
অকাল প্রয়াত এই অভিনয় শিল্পীকে উপমহাদেশের মানুষ আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বিএনএনিউজ২৪,আর আর খান,জিএন