বিএনএ,জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জীবনের নিরাপত্তা ও বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কে.এম শামসুর রহমান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের সর্দারপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। তিনি সমাজসেবা অফিসে ইউনিয়ন সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কে.এম শামসুর রহমান বলেন,পৌর শহরের সর্দারপাড়া এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে গাজীউর রহমানের কাছ থেকে প্রায় ৫ বছর পূর্বে ৬ শতক জমি কিনেন তিনি। জমি রেজিষ্ট্রির পর নিজের নামে জমির নামজারীও করেন । হঠাৎ গাজীউর রহমানের চাচাতো ভাই মতিউর রহমান ( আবদুর রহমানের ছেলে) ওই জমি তাদের দাবি করে চাদাঁ দাবি করেন। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়। পরে পৌর মেয়রের মধ্যস্থতায় আধা শতক জমি মতিউর রহমানকে ছেড়ে দিয়ে বিরোধ নিস্পত্তি করে দেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। এরপর থেকেই বসতবাড়ি করে সেখানে বসবাস করে আসছেন শামসুর রহমান দম্পত্তি। অসুস্থজনিত কারণে গত কয়েকদিন আগে জমিটি বিক্রির সাইনবোর্ড দেন শামসুর রহমান। এরপর থেকেই আবারো উক্ত জমি ও বসতভিটা দখলের পায়ঁতারা শুরু করে মতিউর রহমান। একপর্যায়ে মতিউর রহমান শামসুর রহমানকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তাই এর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,মতিউর রহমানের ভয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরাও করতে পারছেন না। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন।
পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন,ওই জমি নিয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে। শালিস বৈঠকে সমঝোতার স্বার্থে আধা শতক জমি মতিউর রহমানকে দিয়ে বিরোধ নিস্পত্তি করে দেওয়া হয়। যে যার মত ভোগ দখল করে আসছেন। এখন আবার কি সমস্যা হয়েছে তা জানা নেই।
বিএনএ/ এম শাহীন আল আমীন, ওজি