কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রয়োগ ও সফলতার উপর বাংলাদেশের চার(৪) গবেষকের একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি ভারতের মানসা পাবলিশার্সের ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন (IJIM) জার্নালে “Efficacy of Homoeopathic Medicines to treat Covid-19 disease” শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, লক্ষণভিত্তিক ও প্বার্শপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ দ্বারা কোভিড-১৯ রোগের মত বিশ্ব মহামারী ব্যাধির আরোগ্য লাভ সম্ভব। গবেষকদের দাবী, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র ও লক্ষণের উপর ভিত্তি করে শক্তিকৃত ঔষধ দ্বারা কোভিড-১৯ সহ অন্যান্য অধিকাংশ ক্রনিক রোগ ও তরুণ রোগের আরোগ্য লাভ করা যায়। প্রসঙ্গত, করোনার চরম অতিমারিকালে দেশের, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ দেশের তৃণমূল পর্যন্ত মানুষকে শংকামুক্ত করা, প্রতিরোধক প্রয়োগ এবং করোনা ভাইরাসকে চিকিৎসার মাধ্যমে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন।
এ গবেষণায় সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করেন চট্টগ্রামের ডা. জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হতে ডি,এইচ,এম,এস পাশকৃত নবীন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
গবেষণায় চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যগত ও ব্যবহারিক বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা পূর্বক অংশ গ্রহণ করেন ঐ কলেজেরই স্বনামধন্য শিক্ষিকা ডা. অশ্রু কনা চৌধুরী এবং অপর দুইজন গবেষক হলেন ড. রুস্তম মোহাম্মদ ঈসমাইল(সিনিয়র লেকচারার, ইউনিভার্সিটি টারাঙ্গানো, মালয়েশিয়া) ও আকলিমা নার্গিস( স্যামান ইউনিভার্সিটি, চায়না)।
মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানা যায়, গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত্বে দেখা যায় যে, লক্ষণ ভিত্তিক শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দ্বারা প্বার্শপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে মানবদেহের অধিকাংশ চিররোগ ও তরুণ রোগের স্থায়ীভাবে আরোগ্য সাধন করা যায়।
ডা. জাকির হোসেন সিটি কর্পোরেশন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক অশ্রু কণা চৌধুরী জানান, বিকল্পধারার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দ্বারা রোগের স্থায়ী আরোগ্যের পাশাপাশি এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকারক প্বার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মুক্ত থাকা যায়।
গবেষকদের দাবী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যথেষ্ট ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা দেশের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।(সংগৃহীত)