বিএনএ, কুমিল্লা: মালয়েশিয়ার পেনাং শহর থেকে প্রেমের টানে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাঁও গ্রামে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ার এক তরুণী। সোমবার (১১ জুলাই) নূর আজিমা নামের তরুণী বাংলাদেশে আসেন।
ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে অভিভাবক হিসেবে খালা আমাইকা এম সুকিরি ও খালাতো বোন সারিনা সায়মানকেও নিয়ে আসেন ওই তরুণী। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে দীঘলগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসহাক।
চেয়ারম্যান মো. ইসহাক বলেন, বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে ওই শহরের বাসিন্দা নূর আজিমার সঙ্গে পরিচয় হয় সাইফুলের। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে সোমবার (১১ জুলাই) প্রেমিক সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের।
প্রেমিক সাইফুল বলেন, নূর আজিমা অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত চরিত্রের নারী। সে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। আমি বলেছি তুমি বাংলাদেশে এসে আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলো। আমার পরিবার যদি চায় তবে আমি তোমাকে বিয়ে করবো। আমার কথা মেনে নিয়ে সে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আমার এবং তার পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি। সে বাংলাদেশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে একই দিন সোমবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার ইমরান খান নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আমেরিকান এক তরুণী চলে এসেছেন বাংলাদেশে। লিডিয়া লুজা খান সোমবার (১১ জুলাই) ভোর তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। লিডিয়া লুজা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার বাসিন্দা। বাবা নেই, মা অন্য পরিবারের সদস্য। দুই ভাইয়ের একটি মাত্র বোন সে। ছোটবেলা থেকেই লুজা দাদুর কাছে বড় হয়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ায় এখন তার নামের সঙ্গে স্বামীর পরিবারের উপাধি হিসেবে ‘খান’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ