বিএনএ, ময়মনসিংহ , হামিমুর রহমান: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এখন যে হারে কভিড সংক্রমণ বাড়ছে সবার টিকা নেওয়াটাই সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আমরা চাচ্ছি যতদ্রুত সম্ভব যতো বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যায়। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। আমরা এই মুহুর্তে খুব বেশি আশংকা করছি না যে টিকা নিয়ে কোনো গণচ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবো।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় গণটিকা কর্মসূচি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যতই প্রস্তুতি নেইনা কেন রোগী কমাতে না পারলে কাজ হবে না। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, টিকা পাওয়ার যে চ্যালেঞ্জ ছিলো তা মোটামুটি ওভারকাম করে উঠেছি। ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসে গেছে। আমরা আশা করছি এ সপ্তাহে ও পরবর্তী সপ্তাহ গুলোতে পর্যায়ক্রমে আরও টিকা আসবে। আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা কেনা এবং পাশাপাশি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমেও টিকা পেতে শুরু করেছি। এ্যাস্টাজেনিকা টিকার প্রথম ডোজ পেলেও অনেকে না দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ মাসেই এ্যাস্টাজেনিকা টিকা এসে যাবে। আসার পরপরই দ্বিতীয় ডোজ পায়নি তাদের দেওয়া হবে।
করোনার সংক্রমণের মধ্যে কঠোর বিধি নিষেধ শিথিল করা প্রসঙ্গে বলেন, জীবিকার কারণে বাধ্য হয়ে অনেক সময় অনেক কিছু খোলে দিতে হয়। জীবিকার জন্য যে কাজ গুলো প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেগুলো করে সামাজিক অনুষ্ঠান গুলো থেকে বিরত থাকলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেহেতু আমরা সেটি করিনা সে কারণে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা সবাই যদি স্বাস্থ্য বিধিগুলো সঠিক ভাবে মানতাম ও সঠিক ভাবে মাস্ক পরতাম তাহলে সংক্রমণ অনেক খানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো। তিনি স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। আমরা নিজেরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখলেই কোভিড নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
পরিদর্শনকালে মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, বিশ্বব্যাপী টিকার এই সংকটে আমরা আবার গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারনেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।
তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে আমরা অক্সফোর্ড এ্যাস্টাজেনিকার টিকাদান সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। বর্তমান গণটিকা কার্যক্রমকে সফল করার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, এসকে হাসপাতাল এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থাপিত মোট ৩ টি কন্দ্রের ১২ টি বুথে এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সাধারন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য এবং স্বস্তির সাথে এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
এ সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ফজলুল কবীর, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর এস এম মুস্তাফিজুর রহামান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, মেডিকেল অফিসার ডা. রেদাউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/ওজি