বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার পিএবি সড়কের ফাজিলখাঁর হাট এলাকায় ব্যস্ততম সড়কে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। ফলে সড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটিতে চলাচলকারী পরিবহন যাত্রীরা।
এভাবে সড়কের উপর পশুর হাট বসলেও উপজেলা প্রশাসনের কোন তদারকি চোখে পড়েনি। বরং বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিলখাঁরহাট বাজারটি উপজেলার হাটবাজার ইজারা দরপত্রে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৩২ টাকা সরকারি মূল্য দিলেও প্রথম দরপত্রে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করলেও পরে দরপত্র কমে শিডিউল পড়ায় কোন ইজারাদার প্রতিষ্ঠান বাজারটি পাননি।
ফলে, উপজেলা প্রশাসনের অধীনে বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি অফিস খাস আদায় করছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্ণফুলী টু আনোয়ারার পিএবি প্রধান সড়কের দুইপাশে গরু, ছাগল ও মহিষ বেঁধে রেখে চলছে বেচাকেনা।
অথচ সড়কের পাশে কিংবা মহাসড়কে পশুর হাট না বসার বিষয়ে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সেই শর্ত ভঙ্গ করে বসানো হয়েছে হাট। এতে ভোগান্তি পড়েছেন পিএবি সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহন। এতে সড়কটিতে তৈরি হচ্ছে যানজট। ঈদে ঘরমুখো মানুষেরও নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ আসলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সড়ক ও মহাসড়কের ওপর কোনো হাট বসবে না। কিন্তু সে কথা আর কেউ মনে রাখেন না। ঈদের মৌসুমে শহর থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছে। এমন সময়ে সড়কের ওপর পশুর হাট। মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি উপলব্ধি করলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ফাজিলখাঁর হাটের আবদুস সবুর বলেন, দৌলতপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ ফটকে গরু-ছাগল ও অন্যপাশ ধরে কেইপিজেড গেট পর্যন্ত গরুর হাট বসানো হয়েছে। এছাড়া আশপাশের সড়কেও গরুর ছড়াছড়ি। বৃষ্টিতে গোবর, গো–খাদ্যসহ আবর্জনায় ভরে গেছে চারপাশ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে পরিবহন যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরও একই কায়দায় সড়কের ওপর বসা পশুর হাটটি তুলে নিয়ে গ্রাম-পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ফলে, সরানো হয়েছিলো সড়কের পশুর হাট।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাতকে সড়কে পশুর হাট বসার ভিডিও ও ছবি পাঠালেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি। তবে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানান, বাজারটি ইজারা হয়নি। তাই হাসিল উঠাচ্ছে।
কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বাজারটি ইজারা না হওয়ায় উপজেলা ভূমি অফিসের পক্ষে আমরা খাস কালেকশন আদায় করতেছি।’ জানতে চাওয়া হয়, সড়কে বাজার বসিয়ে খাস আদায় কেন এমন প্রশ্নে তহসিলদার কৌশলে এড়িয়ে বলেন, ‘আমি এখন ইউএনও অফিসে এসেছি। পরে কল দিয়ে জানাবো।’
বিএনএনিউজ/ বিএম।এইচমুন্নী