বিএনএ, বিনোদন প্রতিবেদন : জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি গুরুতর অভিযোগ সম্বলিত স্ট্যাটাস দেয়ার পর সাংবাদিকদের কালক্ষেপন না করে বাসায় ডাকেন। তিনি আশংকা প্রকাশ করেন রাতেই তার কোন কিছু অঘটন ঘটে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন পরীমনির
নিজের বাসায় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এক সংবাদসম্মেলনে চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেন, ঘটনার মূল হোতা নাসির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি। উত্তরা বোট ক্লাব নামে এক ক্লাবের সাবেক সভাপতি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন রাত ১২টার পর পরিচিতজনদের নিয়ে ওই ক্লাবে যান পরীমনি। সেদিন চারজন মদ্যপ ব্যক্তি পরীমনিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। চড়-থাপ্পড় মারেন। গায়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে একজন তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করে তারা।
চিত্রনায়িকা পরীমনি বলেন, বুধবার রাত ১২ টার দিকে অমি নামের একজন পরিচিত ব্যক্তির সাথে উত্তরা বোট ক্লাবে যাই। সেখানে আর কেউ ছিল না। তবে পরে সেখানে নাসির ইউ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি আসে। তিনি নিজেকে উত্তরা বোট ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট পরিচয় দেন।
এ সব তথ্য দিয়ে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন পরীমনি। সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে অন্য কক্ষে বিশ্রামে চলে যান।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে ফেসবুকে জীবন বিপন্ন স্ট্যাটাস দেয়ার পর পরীমণির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন সাংবাদিকরা। ফোন ধরেই কাঁদতে থাকেন তিনি। দৃঢ় কন্ঠে জানালেন, তার স্ট্যাটাসটি সত্য। অনেক ভেবেচিন্তেই এই স্ট্যাটাস দেন।
কিন্তু স্ট্যাটাসে অভিযুক্তের নাম লেখেননি, কে বা কারা তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছে? সেই প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘এটা আমি অবশ্যই বলব। তবে ফোনে বলা যাবে না। আপনারা সাংবাদিকরা আসেন। আমি সবার সামনে, ক্যামেরার সামনে বলতে চাই। আমি সবাইকে জানাতে চাই। আমার ভরসা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কাউকে ভরসা করতে পারি না ভাই। আজ রাতে আমার যদি কিছু হয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? আমি এজন্য ফোনে কিছু বলব না।’
আরো পড়ুন : পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা, বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে
বিএনএনিউজ২৪, আরআরকে, এসজিএন