বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সাগর পাড়ের ১৫ লাখ মানুষ সুপার সাইক্লোন মোখা থেকে বাঁচতে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।অন্যদিকে সমুদ্র সৈকতের সাগর লতা ধ্বংস করে, ইসি এলাকায় নির্মিত হোটেল রক্ষা করতে বালু উত্তোলন করছেন তারকা মানের হোটেল সায়মন বীচের কর্মীরা। শনিবার (১৩মে) কক্সবাজার কলাতলী পয়েন্টে সায়মন বীচের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, কারো কান্না পায়ের জন্য,আর করো কান্না যেন জুতোর জন্য।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবেশ কর্মীরা অভিযোগ করেছেন এসব হোটেল কর্মীরা সাগর লতা ধ্বংস করে কক্সবাজারের ক্ষয়ক্ষতি করছেন।ধ্বং স করছেন পরিবেশ ও সৈকতের বালিয়াড়ির রক্ষাকবচ সাগর লতা।
আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের নেতা মহসীন শেখ বলেন, সকলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসলে ভয় পায় এবং জীবন বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করি। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে প্রাকৃতিক যে সম্পদ গুলো সৃষ্টি হয়েছে তার ওপর সারাবছর ভূমিদস্যু, পরিবেশ দস্যুরা নিপিড়ন করে এটি বড় দুঃখজনক বিষয়। একদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে কক্সবাজার উপকূলের মানুষ অন্যদিকে সমুদ্র সৈকতের বালিআড়ি রক্ষার অন্যতম সম্পদ সাগরলতা দিনদুপুরে ধ্বংস করে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি আবাসিক হোটেল।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, সমুদ্রের বালিয়াড়ি ধরে রাখে সাগর লতা। সাগর লতায় বালুর ঢিবি তৈরি করে। এই বালুর ঢিবি জলচ্ছ্বআস থেকে রক্ষা করে। এখন সেই সাগর লতা ধ্বংস করে বালিয়াড়ি ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
যারা সাগর লতা ও বালিয়াড়ি ধ্বংস করে নিজেদের আবাসিক হোটেল রক্ষার চেষ্টা করছে তারা ভুল করছে। তারা নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের রক্ষাকবচ সাগরতা ধ্বংস করা এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে এই সাগর লতা যেন রক্ষা করা হয়। যারা এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হওয়া বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
বিএনএনিউজ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।