20.7 C
আবহাওয়া
৬:০৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

মোখা

বিএনএ, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে কক্সবাজার জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল ও কুতুবদিয়ার কিছু গ্রামে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে জেলার উপকূলীয় নাজিরারটেক, কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতিপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন মধ্যরাত থেকে ঘর বাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে কারো কারো বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামে নাজিরারটেকের এক বাসিন্দাও পরিবার নিয়ে আশ্রকেন্দ্রে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘রাত ২টার পর থেকে পানি ঢুকতে শুরু করে। বৃষ্টি এবং হালকা বাতাসও ছিল। এতে আমার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই পরিবার নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভয় কাজ করছিল। আরও অনেক মানুষ আস্তে আস্তে আসতে (আশ্রয়কেন্দ্রে) চায়। তারাও চলে আসবে।’

রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, ‘হুশিয়ারি সংকেত দেয়ার পর ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে কূলে ফিরি। এখন পরিবার নিয়ে এখানে অবস্থান নিয়েছি। ছোট ছেলে-মেয়েও এখানে। এখন কিছুটা নিরাপদ মনে হচ্ছে।’

কুতুবদিয়া পাড়ার রহিমা বেগম তিন সন্তান নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে আমার ঘর তলিয়ে গেছে। পরিবারের চার সদস্য নিয়ে চলে এসেছি। বৃষ্টি আর বাতাস কমলে তারপর ফিরবো ঘরে। এখন ভয় করছে। যেতে পারছি না।’

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকায় ৫৭৬ সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুত রাখা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহীন ইমরান বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটকদের নামতে দেয়া হচ্ছে না। ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ খোলা হয়েছে। এটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ