বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারে পর্যটকরা নামতে পারছেনা সমুদ্র সৈকতে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বীচ কর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে মাইকিং করে যাচ্ছেন।বর্তমানে কক্সবাজারে ১০/১৫ হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন।এ দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগে থেকে বুকিং দেয়া অন্তত পাঁচ হাজার পর্যটক ছুটির দিনে কক্সবাজার আসার ভ্রমণ বাতিল করেছেন।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল অফিসার্স এসোশিসনের সভাপতি কলিম উল্লাহ বলেন, যারা হোটেল বুকিং দিয়ে দুর্যোগকালীন সময়ে ভ্রমণ বাতিল করেছেন তারা সুবিধাজনক যেকোন সময়ে এসে বুকিং দেয়া হোটেলে এসে উঠতে পারবেন।আর যদি বুকিং বাতিল করেন তা হলে অগ্রিম দেয়া টাকা ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে।
কক্সবাজার গেস্ট হাউস রেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে পর্যটকদের আমরা বিনা পয়সায় সেবা দিয়ে থাকি।এমনকি করোনা লকডাউন, হরতাল অবরোধ সময়ে অসংখ্য পর্যটকদের থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে বাড়ি পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রেষ্ট হাউস মালিক সমিতি কতৃপক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যয় ভার বহন করা হয়।গেল মৌসুমে বিরূপ প্রকৃতির সময় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া ৫ শতাধিক পর্যটককে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে প্রশাসনের সহযোগিতায়। এবারও যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে কোন পর্যটক কক্সবাজারে আটকা পড়ে তাদের জন্যও একই পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, কক্সবাজারে এখন সীমিত পরিসরে পর্যটক আছে। তবে বীচে না নামতে বলা হচ্ছে তাদের। বীচের কিটকট, ছাতা, চেয়ার, ঘোড়ার বিচরণ, বীচবাইক ও জেডসকিসহ সকল ব্যবসায়ীদের বীচ থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর ও কিছু কিছু পর্যটক এবং স্থানীয় লোকজন বীচে গিয়ে সমুদ্রের রৌদ্রমূর্তি গর্জন দেখতে বীচ অভিমুখে ছুটে যাচ্ছেন। তবে বীচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কাউকে পানিতে নামতে দিচ্ছে না।
ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আসা শিমুল মুখার্জি এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।তিনি পেশায় একজন চাকুরীজীবি। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বারবার বীচে গিয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট নেমে সমুদ্রের তর্জন, গর্জন উপভোগ করছিলেন। তবে লাইফগার্ড কর্মী, ও পুলিশ তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হলে ও তারা সমুদ্রের জলতরঙ্গের গর্জন দেখে ও শব্দ শুনে আনন্দ উপভোগ করেন নিরাপদ দূরত্বে থেকে।
এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদক উক্ত পর্যটকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাগরের এ রূপ চিত্র তিনি আগে কখনো দেখেননি। তাই নিরাপদ দূরত্বে থেকে উপভোগ করছি।
কক্সবাজার নির্বাহী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে এখন ৮ নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় অনেক পর্যটক নির্ধারিত ভ্রমণ বাতিল করেছেন। তাই যেসব পর্যটক এখন অবসথান করছেন তারা অবশ্য নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।
বিএনএনিউজ/ এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।