বিএনএ: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রমনা বটমূলে বৈশাখের অনুষ্ঠানে ঢুকতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রমনা বটমূলে ব্যাগ নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিকেল চারটার মধ্যে রমনায় সব অনুষ্ঠান শেষ করে স্থান ত্যাগ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখে ভুভুজেলাসহ বিভিন্ন উচ্চ শব্দ করে এমন বাদ্য ব্যবহার করে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। বলেন, প্রতি বছর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বটমূলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আমাদের সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আন্তর্জাতিক মানের। যদি কোথাও বোমা পাওয়া যায় তাহলে সিটিটিসির রোবোটিকস সিস্টেম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে আইডেন্টিফাই করা যাবে। পরবর্তী সময়ে রোবটের মাধ্যমে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাবে। এরমধ্যে যদি কোনো দুষ্কৃতিকারী ঢুকে যায় তাহলে সোয়াত টিম সেই মহড়া দিয়েছে। তাদের সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখ যেন ঢাকাবাসীসহ সব বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে সেজন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্রসরোবর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক প্রায় ২৭০০ পুলিশ কাজ করছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে। এরমধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রত্যকটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যকেককে সার্চ করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, রমনায় লোক সমাগম বেশি হলে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রমনা পার্ক সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ৪টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করে রমনা ত্যাগ করতে হবে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না।
বিএনএ নিউজ/এ আর