বিএনএ : তরমুজের লাল অংশটি ছাড়াও এর বাকি অংশও খাওয়া যায়। তরমুজের খোসাও বেশ উপকারী এবং দারুণ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি, সামান্য ক্যালরি, ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। তাই পুষ্টিকর অংশ ফেলে না দিয়ে বরং এর উপযুক্ত ব্যবহার করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পুষ্টিবিদরা বলেন, তরমুজের বাকি অংশের তুলনায় খোসার সাদা অংশ অনেক বেশি উপকারী। এতে ফাইবারের পরিমাণ বাকি তরমুজের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। চিনির মাত্রাও কম। বিস্বাদ বলে তরমুজের যে সাদা অংশটি সবাই ফেলে দেয়, ওটাই আসলে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
কেন খাবেন তরমুজের খোসা?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
তরমুজের খোসায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এ ছাড়াও এতে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়ায়ও দারুণ সাহায্য করে। যারা ডায়েটে আছেন, তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তরমুজের খোসা। তবে খোসার সাদা অংশটি শুধু খাওয়ার উপযোগী। বাইরের সবুজ অংশটি নয়। ভুল করে সবুজ অংশটি খেয়ে ফেললে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়তে খেতে পারেন তরমুজের খোসার সাদা অংশ।
ত্বকের যত্নে
বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। বিভিন্ন দাগছোপ দেখা দেয়। তরমুজের খোসায় রয়েছে লাইকোপেন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই উপাদানগুলো অত্যন্ত উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ‘সাইট্রুলিন’ নামক একধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।