বিএনএ,চট্টগ্রাম: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন কঠোরভাবে পালনের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে চসিক মেয়র বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চহার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় প্রতিদিন পূর্বের রেকর্ড সীমা অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কারণ, গত সাত দিনে দেখা গেছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও জনসাধারণের মধ্যে তা পালনে অনীহা, ঢিলেমি এবং অসচেতনতা পরিস্থিতিকে দ্রুত অবনতিশীল করেছে। তাই জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় আর তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া হলে বড় ধরনের মহা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই প্রেক্ষিতে কঠোরভাবে লক ডাউনের বাধ্যবাধকতা মানার ক্ষেত্রে যাতে কোনো ব্যতিক্রম না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিরো-টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।
সিটি মেয়র বলেন, জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় হুমকীর কারণগুলোর পুনরাবৃত্তি রোধে যা করা প্রয়োজন, তা শতভাগ প্রয়োগ করতে হবে। শুধুমাত্র প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে লকডাউন সফল বা শতভাগ কার্যকর করা সম্ভব নয়। লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। বাহিরের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এলাকাভিত্তিক অভিযান, প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণের দায়িত্ব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকেই নিতে হবে এবং লকডাউনের কার্যকারিতা অঞ্চল ভিত্তিক মনিটরিং ব্যবস্থাপনা চলমান রাখতে হবে।
মেয়র রেজাউল বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মতই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ও চিকিৎসা সহায়তাসহ জরুরী সেবা কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে। এ ছাড়া চসিক আইনসোলেশন সেন্টারে বিনামূল্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ সবধরনের সেবা দেয়ার জন্য সার্বক্ষনিক উম্মুক্ত থাকবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য বিভাগগুলো বন্ধ থাকলেও নিয়োজিত জনবলের কেউ নগর ত্যাগ করতে পারবেন না। অফিস প্রয়োজনে ডাক পড়লে তাদের অবশ্যই হাজির হতে হবে বলে নির্দেশনা দেন তিনি।
বিএনএনিউজ/মনির