বিএনএ, ঢাকা :এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৪১৩টি স্টল এবং ৩০টি প্যাভিলিয়নে ২৫ দিনে মোট ৩ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। অথচ, মেলায় সব প্রকাশনীর লগ্নি করা অর্থের পরিমাণ ৯০ কোটি টাকা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বইমেলা শেষে মেলার মাঠে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি এবং বইমেলা স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল পাল।
তিনি বলেন, ‘প্রকাশকদের পক্ষ থেকে বইমেলার জন্য বাংলা একাডেমির কাছে চারটি তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ২৮ তারিখ, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ এবং ৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ। অথচ বাংলা একাডেমি এ চার তারিখের একটিতেও বইমেলা না করে ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেলার তারিখ ঘোষণা করে।’
বাংলা একাডেমির একক সিদ্ধান্তের কারণে বইমেলায় বিপর্যয় হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। এজন্য তারা চারটি কারণ উল্লেখ করেন। চৈত্র মাসের প্রচণ্ড গরমকালে মেলার সময় নির্ধারণ করা, মেলার মূল মাঠে প্যাভিলিয়ন রেখে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে দূরে ঠেলে দেওয়া, বারবার মেলার সময়সূচি পরিবর্তন করা এবং চলমান লকডাউন।
শ্যামল পাল তার লিখিত বক্তব্যে সরকারের কাছে ৫টি প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবগুলো হলো—
১. স্টল ভাড়া, স্টল ডেকোরেশন, কর্মচারীদের বেতন, দৈনন্দিন দোকান খরচসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল বিনিয়োগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
২: ক্ষতিগ্রস্ত ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ কোটি টাকার বই কেনা।
৩: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুজিববর্ষসহ ধারাবাহিক বই ক্রয় কমিটিতে প্রকাশক সমিতির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
৪: সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতার জন্য সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা।
৫: রাষ্ট্র ও সরকারের অন্য যেসব প্রণোদনা বিভিন্ন শিল্প সেক্টরের জন্য রয়েছে তা প্রকাশক ও বিক্রেতাদেরও দেওয়া।