বিএনএ,দিনাজপুর:দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক ৬ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২২ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বুধবার(১৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম।
মামলার আসামিরা হলেন-সাবেক ছয় এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান,প্রকৌশলী খুরশিদ আলম,প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম)মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া,শরিফুল আলম, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপব্যবস্থাপক মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. খলিলুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম,ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলী।
দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)র আইনজীবী আমিনুর রহমান জানান, প্রায় ২শ ৪৪ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা চুরির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল দুদক।সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আলম মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অন্য আসামিরা জামিনে ছিলেন।বুধবার সকালে আদালতে তারা আবরও জামিন চাইলে শুনানি শেষে তাদের আবেদন নাকচ কোরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা যায়,২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়।যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান।মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।পরে তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিএনএনিউজ/এস শাহী,আরকেসি