বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক:মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী কার্যকরের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণের পক্ষে কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।বুধবার(১৩ জানুয়ারি)কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেন ২২৩ জন, আর বিপক্ষে ছিলেন ২০৫ জন্য সদস্য।এই সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাম্পকে অপসারণের উদ্যোগ নিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানায় কংগ্রেস।
প্রস্তাব পাসের পরপরই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনী অনুসারে ট্রাম্পকে অপসারণের অনুরোধ জানান স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।যদিও ভোট শুরুর আগেই মাইক পেন্স জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পকে অপসারণে পদক্ষেপ নেয়ার কোন ইচ্ছা তার নেই।এমন কিছু করলে অশান্তি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এখন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কোন পদক্ষেপ না নিলে প্রস্তাবটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে যাবে।সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাস হতে হবে।সিনেটেও যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে রায় যায় তাহলে নির্ধারিত সময়ে আগেই ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে তাকে।সেইসঙ্গে তিনি আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেননা।
৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর থেকেই, সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী কার্যকরের মাধ্যমে মেয়াদ শেষের আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অপসারণের জোর দাবি ওঠে।ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান সদস্যরাও একই দাবিতে সোচ্চার হন।সেইসঙ্গে ট্রাম্পকে অভিশংসনেরও দাবি ওঠে।
এদিকে,ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা ও হামলার ঘটনার দায় নেবেননা বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।হামলার আগে দেয়া বক্তব্য উস্কানিমূলক ছিলনা দাবি করে তিনি বলেন, তার বক্তব্য সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য, আর অভিশংসনের প্রস্তাবও হাস্যকর।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ও ক্যাপিটলে তার সমর্থকদের হামলার নিন্দায় সরব হয়েছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।এক চিঠিতে তারা বলেন, ওই ঘটনা শুধুমাত্র অন্যায় নয়, আইনবিরুদ্ধও।এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত।তারা বলেন, ট্রাম্প যাই দাবি করুক না কেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাইডেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের এমন নিন্দা জানানোর ঘটনা বিরল।
বিএনএনিউজ/আরকেসি