বিএনএ, ঢাকা: ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, রাজনীতি এখন সামরিক-বেসামরিক আমলা আর ধনী গোষ্ঠীর আওতাভুক্ত। এটিকে বলে অলিগারকি(গোষ্ঠীশাসন)। এর বাইরে গিয়ে, এদের স্বার্থ রক্ষা না করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।
রোববার (১২ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুখময় হবে না। বিএনপি হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে যা শুরু করেছে, সেটি কোনো সমাধান না। তাদের উচিত নির্বাচনে আসা। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে বিএনপির জোর দেয়া উচিত।
রাশেদ খান মেনন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের জাতীয় সংসদের এক ঘণ্টার মধ্যে ৩ মিনিট শুধু দেশের মানুষের কথা হয়। বাকি সময় শুধু চলে নেত্রী বন্দনা আর নেত্রী নিন্দা। সত্যি সত্যি সংসদ এলিট ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন,আগামী বছর ৩২টি দেশে নির্বাচন আছে। তবে আমেরিকার নজর কেন বাংলাদেশের দিকে। যেখানে পাকিস্তানের ইমরান খান জেলে আর আগামী বছর পাকিস্তানের নির্বাচন, সেখানে আমেরিকার কোনো কথা নেই। তাদের সব চিন্তা বাংলাদেশ নিয়ে।
কনভেনশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনএমর যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত আছেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের সভাপতি চাকসুর ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন , সাধারণ সম্পাদক ও চাকসুর জিএস আজিম উদ্দিন আহমেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও চাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ফেরদৌস বশির।
কনভেনশনে ঘোষিত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে যারা আছেন তারা হচ্ছেন সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল সেলিম, ফেরদৌস বশীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী মজুমদার, মঈনুল আহসান মুন্না, কাজী সিরাজুল ইসলাম, সদস্য: রাজীব চৌধুরী, ঊষাপ্রু মারমা, ইমরানুর রহমান, নাসিমুল গণি মামুন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিকশিত করার লক্ষ্য নিয়ে গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম তৃণমূল বিএনপির সাথে একজোট হয়ে নির্বাচন করবে।
বিএনএ/ ওজি