বিএনএ ডেস্ক: ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল এ তথ্য জানান।
এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগে ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন সিইসি।
সিইসি জানান, নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তারা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি জানান, সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কোথাও কোথাও গোপন বুথে একাধিক ব্যক্তির আনাগোনা দেখা গেছে। ভোটে এমন ডাকাতির অনেক অভিযোগ পেয়েছে কমিশন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এ কারণেই নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পোলিং এজেন্টদের পোশাকে নির্বাচনী প্রতীক ছাপানো ছিল। নারীদের পরনে একই রঙের শাড়ি ও ওড়না ছিল যা নির্বাচনী আচরণের পরিপন্থী।
আওয়ামী লীগ ছাড়া সব প্রার্থীর ভোট বর্জন
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকি সব প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জন করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় সাঘাটা উপজেলার বগেরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে সংবাদ সম্মেলনে একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ৪ প্রার্থী।
এই আসনে ভোট বর্জন করেছেন-জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান। ভোটে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় গঠিত আসটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
বিএনএ/এ আর