ঢাকা : দেশের চরাঞ্চলে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। যদি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা যায় তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। তিনি বলেন, চরের উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু পণ্যের গুণগত মান ও চাহিদা অনেক বেশি। দেশের অর্থনৈতিক নীতিকৌশলে চরের সম্ভাবনাকে যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে আমাদের এসডিজি ও ২০৪১ এর উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে।
এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলামটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে মেকিং মার্কেটস ফর চরস (এমফোরসি) এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এর আয়োজনে বাংলাদেশের ‘অর্থনৈতিক নীতিকৌশলে চরের অবস্থান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন বৈষম্য নিরসনে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি দেশের তৃণমূলে চরাঞ্চলের মানুষের সংকট নিরসনে সর্বদাই তৎপর। দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নে যে রূপরেখা প্রদান করেছিলেন তা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কৃষির উন্নয়ন এবং এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অবদান উল্লেখযোগ্য বলেও মনে করেন তিনি।
সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এর চেয়ারম্যান ড.আতিউর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরডিএ’র মহাপরিচালক মোঃ খুরশিদ আলম, এমফোরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মজিদ, সুইসকন্ট্যাক্ট এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, পিকেএসএফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন ।
বিএনএ,জিএন