বিএনএ ডেস্ক: ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।
দাফনের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার সকালে নিজ এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায় এম এন একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। পরে সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আত্মীয় স্বজনের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা শরীক হন।
জানাজা শেষে তার মরদের নিয়ে স্বজনরা আবার ঢাকায় ফেরেন। পরে বিকেলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানান নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ে রাখা হয় তার মরদেহ। তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা জানান, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জানাজায় শরীক হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। জানাজা শেষে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখান তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। পরে যথাযোগ্য মর্যাদায় দাফন করা হয়।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাজেদা চৌধুরী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানা চড়াই উতরাই পার করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের বড় ক্ষতি হলো বলে জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনএ/এ আর