বিএনএ ঢাকা: করোনা’র ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলো রোগী সংকুলান করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সে সময় জাহিদ মালেক আরও বলেন,হাসপাতালে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার চাপ না হয়, সেজন্য সাবধান থাকতে হবে। টিকা দিয়ে করোনা নির্মূল করা সম্ভব হবে। জীবন ও জীবিকা সবই চালাতে হবে। করোনা সংক্রমণ ৩২ থেকে ২৩ ভাগে নেমে এসেছে। তবে মৃত্যুহার কমেনি। বয়স্কদের মৃত্যুহার ৯০ ভাগ। তাই তাদের আগেই টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। করোনায় মৃত্যুহার কমেনি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ কমে আসছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রায় পৌনে দুই কোটি লোককে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। ৫০ লাখের বেশি লোক দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। সরকার বিভিন্নভাবে টিকা পাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমাদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এটি চলমান থাকবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৪ লাখ ডোজ টিকা আসবে। পরের মাসে আবার ৫০ লাখ ডোজ আসবে। সব মিলিয়ে এ মাসেই এক লাখ ডোজ টিকা আসবে।পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। সবারই টিকা প্রয়োজন। ২৬ থেকে ২৭ কোটি টিকা লাগবে।সরকার চেষ্টা করছে।পর্যায়ক্রমে সবাই টিকা পাবেন, ধৈর্য ধরতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি চলছে। বড় দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার চার-পাঁচগুণ বেশি টিকা মজুদ করেছে। সরকারও সাধ্যমতো কিনে আনার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
সে সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, কোভিড রোগী যদি এর চেয়ে বাড়ে, তবে হাসপাতালে জায়গা দেয়া সম্ভব হবে না। তাই নিয়ন্ত্রণটাই একমাত্র উপায়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, কোভিড রোগীর চেয়ে নন কোভিড রোগী এখনো বেশি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি