বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার (১২ জুলাই) সমাবেশের শুরুতেই মারামারি আর চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়েছে দলের দুটি পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে বিকাল ৩টায় শুরু হয়। তবে এর আগেই দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। তাতেও কাজ না হওয়ায় কয়েকজন নেতা মঞ্চ থেকে নেমে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলায় জড়িত দুই পক্ষই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে এসেছে। তারা পৃথক মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে। মঞ্চের সামনে রাখা চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
মঞ্চে উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, পৌনে ২টার দিকে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফির সমর্থকরা মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসে যান, এ সময় রূপগঞ্জ থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে একটি মিছিল মঞ্চের সামনে চলে আসে, তখন সেখানে বসাকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ বিকেল ৩টায় শুরু হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
আওয়ামী লীগের এই সমাবেশস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির সমাবেশ। ওই কর্মসূচি থেকে সরকারপতনের আন্দোলনের ‘এক দফা’ ঘোষণা আসবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন দলটির নেতারা।
একই সময়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃংখলা বাহিনী বিশেষ নজরদারি রেখেছে দুদলের সমাবেশে। ২৩ টি শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।
বিএনএ/এমএফ