বিএনএ, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। বুধবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা জনগণকে মুক্ত করতে চাই এই সরকারের পতনের মাধ্যমে। যারা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করবে, তারাও ভোট চুরির অংশীদার। এই আন্দোলন যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
গয়েশ্বর বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন কিছু কথা বলেছেন। এখানে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনও আছেন। আপনারা আইনজীবীরা যদি মনে করেন শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে এবং আদালতে ন্যায় বিচারের পরিবর্তে আওয়ামী বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাহলে আপনারা সারাদেশের আইনজীবীরা কয়েকদিনের জন্য আদালতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। আপনারা যদি আদালতে যাওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে আমরা গায়েবি মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যাব না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের যুদ্ধে যেটি করা হবে সেটি আইন, সেটি সংবিধান। সংবিধান শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের জন্য নয়। সংবিধান দেশের জনগণের জন্য। এখন থেকে একটি আঘাত এলে দুটি আঘাত করব।
তিনি বলেন, সব বাঁধা উপেক্ষা করে আজকের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ শুরু হবে। আর বেশি দিন মিথ্যার ওপরে রাজত্ব করতে পারবেন না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা গেছে, এই সমাবেশ থেকেই সরকারপতনের এক দফার আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে বিএনপি। সমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেবেন।
দুপুর ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ ঘিরে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনাহেনা