বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মামলা নিয়েছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তবে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ৪০ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মরদেহ উত্তোলন করা হবে।
শাহরিনের শ্বশুর বাড়ি নগরের পশ্চিম ষোলশহর হাদু মাঝির পাড়ায়। পৈতৃক বাড়ি নগরের চালিতাতলী বাজারে এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানার হাদু মাঝি পাড়ায় মো. জাহেদুল মোস্তফার স্ত্রী আলফা শাহরিনকে (২৬) শ্বশুর বাড়ি থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরদিন ২৮ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলফা শাহরিন। মৃত্যুর পর যথারীতি দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তবে এনিয়ে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রদান ও মরদেহ গোসলের সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় আলফা শাহরিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আলফা শাহরিনের পিতা নুরুল আলম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতের দারস্থ হন। গত ৭ মে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন চট্টগ্রাম মেট্রোকে হস্তান্তরের জন্য নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরা।
এই মামলায় আলফা শাহরিনের শ্বাশুড়ি বিবি আয়েশা (৪৮), ননদ আশফিকা (১৯) ও দেবর সামিরকে (২১) আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্তভার পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে আলফা শাহরিনের মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হবে বলে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে (বিএনএ) জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাহেদ।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৭ জুন বায়েজিদ বোস্তামীর নাজিরাবাদ দারোগার বাড়ির নুরুল করিমের মেয়ে আলফা শাহরিনের সাথে পাঁচলাইশ হাদু মাঝি পাড়ার সিরাজুল মোস্তফার ছেলে জাহেদুল মোস্তফার আকদ হয় এবং ওই বছরের ১৫ আগস্ট সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারের শেহজাইন মোস্তফা তাবিউল নামে দুই বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
বিএনএনিউজ/ বাবর মুনাফ/এইচমুন্নী